
Sinister 2012 Movie Polt
Sinister 2012 Movie Review: পরিচালক স্কট ডেরিকসন। ইথান হক, জুলিয়েট রাইলান্স, ফ্রেড থম্পসন, জেমস র্যানসোনের সাথে। একজন বিতর্কিত সত্যিকারের অপরাধ লেখক তার নতুন বাড়িতে সুপার 8 হোম সিনেমার একটি বাক্স খুঁজে পেয়েছেন, প্রকাশ করেছেন যে তিনি বর্তমানে যে হত্যা মামলাটি নিয়ে গবেষণা করছেন সেটি একজন অজানা সিরিয়াল কিলারের কাজ হতে পারে যার উত্তরাধিকার 1960 এর দশকে।
মুভি-ঃ sinister (2012)
ধরন-ঃ হররর, ক্রাইম, থ্রিলার
পরিচালক-ঃ স্কট ডেরিকসন
অভিনয়-ঃ ইথান হক, জুলিয়েট রাইলান্স, জেমস র্যানসোন, ফ্রেড থম্পসন, ক্লেয়ার ফোলি
রানটাইম-ঃ ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট।
ভয় হচ্ছে মানুষদের আদিম অনুভুতি, কেউ চাইলেই ভয়কে এড়িয়ে যেতে পারে না, ভয়টা যেনো মানুষের রক্তে মিশে আছে।
আর আমরা হরর ফিল্ম গুলো দেখি ভয় পাওয়ার জন্য, এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নয়। তবে কথা হচ্ছে আপনি চাইলেও এই ফিল্মটা দেখার সময় ভয়কে এড়িয়ে যেতে পারবেন না.. ফিল্ম চলাকালীন ভয়টা কাজ করবে আপনার শিরায় শিরায়।
এলিসন একজন ক্রাইম রাইটার যিনি লেখার সুবিধার্থে নিজের ফ্যামিলিকে নিয়ে ক্রাইম স্পটে থাকার ব্যবস্থা করে যাতে সবকিছু নিজে অবজারভেশন করে ক্রাইমের কারণ বের করতে পারে, এবং হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন করতে পারে। মূল ব্যাপার হচ্ছে তার মধ্যে কোনো ভৌতিক চিন্তাধারাই ছিল না.. সে মনে করেছিল এতসব হত্যা নিছক কোনো হত্যাকারীর।
বাড়িতে উঠার পরই সে একটি মুভি প্লেয়ার পায় যেখানে কয়েকটি হত্যাযজ্ঞ রেকর্ড করা আছে। যেগুলো দেখার পর এলিসন অদ্ভুত কিছু খুজে পায়.. এগুতে থাকে কাহিনী, বাড়তে থাকে ভয়।
এলিসনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন Ethan Hawke যিনি predestination মুভির মাধ্যমেই বেশি পরিচিত। তিনি বলতে গেলে মুভিটার প্রাণ, মুভির প্রতিটি সিকোয়েন্সে তার অভিব্যক্তি ছিল টপনোচ, একবার তার চরিত্রে মিশে গেলে ভয়টা আরো বেড়ে যাবে আপনার। এলিসনের মেয়ে অ্যাসলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন Clare foley, এই বাচ্চা মেয়েটার অভিনয় ছিল দুর্দান্ত, শেষের দিকে এই মেয়েটাই আপনার হৃদপিণ্ডটা চিরে বের করে আনবে।
এই হরর মুভি টা একদম পারফেক্টলি মেকিং ছিলো, বিশেষ করে মুভির মধ্যে যেই ভিডিও ক্লিপ গুলো দেখানো হয়েছিল সেগুলা একদম রিয়েলিস্টিক লাগছে,প্রচুর ডিস্টার্বিং ছিলো।
মুভির লোকেশন থেকে বাড়ী সিলেকশন সব কিছু নিখুঁত ছিল। সাউন্ড ট্র্যাক নিয়ে আলাদা করে বলতে হয়.. এর জন্যে বিশেষ প্রশংসার দাবিধার Christopher young, তিনি sinister ছাড়াও pet sematary, drag me to hell এবং hellraiser এর মতো মুভির সাউন্ড কম্পোজ করেছেন। এই মুভির সাউন্ড কম্পোজের জন্য তিনি ২০১৩ সালে বেস্ট স্কোর ক্যাটাগরি তে fright meter award জিতেন।
হরর মুভিতে সচরাচর তেমন টুইস্ট পাওয়া যায় না, তবে এই মুভিতে শেষের টুইস্ট টা সত্যিই অপ্রত্যাশিত ছিল, মুভির প্লট টা খুবই ইন্টারেস্টিং।মুভির বিজিএম ভয়কে আরো দ্বিগুণ করে তোলে। বিজিএম থেকে শুরু করে স্টোরিটেলিং, সিনেমাটোগ্রাফি, ক্লাইম্যাক্স সবকিছু দারুন উপভোগ্য ছিল।
মুভিটি The Ring (2002) হরর ফিল্ম থেকে ইন্সপায়ার্ড। ভয়ংকর কয়েকটি হরর মুভি নিয়ে একটা এক্সপেরিমেন্ট করে দেখা গিয়েছিল এই মুভিটি চলাকালীন সময়ে হার্টবিট অন্য মুভিগুলোর চেয়েও অতিরিক্ত বেশি বেড়ে গিয়েছিল যার কারণে sinister কে পৃথিবীর সবচেয়ে scariest মুভি বলা হয়।