
Blood Diamond 2006 Movie Plot
Blood Diamond 2006 Movie Review: পরিচালনা করেছেন এডওয়ার্ড জুইক। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, ডিজিমন হোনসু, জেনিফার কনেলি, কাগিসো কুইপার্সের সাথে। একজন জেলে, একজন চোরাকারবারী এবং ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট একটি অমূল্য হীরার দখল নিয়ে বুদ্ধি করে।
মুভি-ঃ BLOOD DIAMOND [রক্তিম হীরক] (২০০৬)
ধরন-ঃ ক্রাইম, থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্জার
পরিচালক-ঃ এডওয়ার্ড জুইক
অভিনয়-ঃ লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, ডিজিমন হোনসু, জেনিফার কনেলি, কাগিসো কুইপার্স
রানটাইম-ঃ ২ ঘন্টা ২৩ মিনিট | আইএমডিবি-ঃ ৮/১০
একটি পরিপূর্ণ মাস্টারপিস সিনেমা!
স্পয়লার এলার্ট
আপনি জানলে হয়ত অবাক হবেন! পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী হীরা উৎপাদিত হয় কৃষ্ণাঙ্গদের আবাস-ভূমি, অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ আফ্রিকায়! কিন্তু এত মূল্যবান খনিজ সম্পদ থাকার পরও! আফ্রিকা মহাদেশের মানুষ ঠিক মতো দু-বেলা খেতে পারে’না!
আমি আপনি বা আমরা সবাই, প্রায় সময় বিভিন্ন টিভি নিউজে দেখি। আফ্রিকার শিশুদের শরীরের চামড়ার উপর থেকেই দেখা যাচ্ছে, শরীরের ভেতরে থাকা হাড়ের কঙ্কালটি! এবার আপনি একবার চিন্তা করুন, কতটুকু দূরঅবস্থার মধ্যে থাকলে! শিশুদের শারীরিক অবস্থার এমন অবনতি ঘঠে!
আফ্রিকা মহাদেশের মানুষের এমন দূর্গতির প্রধান কারন গুলোর মধ্যে। অন্যতম একটি কারন, তাদের দেশের মাটির নিচে থাকা হীরা-সহ! আরো অন্যান্য মহা-মূল্যবান খনিজ সম্পদ! হ্যা, সম্পদই আফ্রিকানদের উপর গজব রূপে বর্ষিত হচ্ছে! যা ‘BLOOD DIAMOND’-সিনেমাটিতে খুবই সুক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে।
ছেলে দিয়াকে বড় ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন বুকে নিয়ে। জেলে পিতা সলোমন ড্যান্ডি ও তার পরিবার, সুখে দুঃখে দিনকাল অতিবাহিত করছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে একদিন RUF সন্ত্রাসী-গোষ্টি [বিদ্রোহী] আক্রমন চালিয়ে, দখল করে সলোমনদের গ্রাম! গ্রামের নারী-পুরুষ শিশু-কিশোর। সবাইকে অপহরণ করে নিয়ে যায় RUF-এর হয়ে যুদ্ধ করতে! এবং হীরা উত্তলনের কাজ করতে!
হীরার খনিতে কাজ করতে গিয়ে। সলোমনের হাতে আসে দূর্লভ একটি গোলাপী হীরক! যেটি অন্যান্য হীরার চাইতে অনেক বেশী মূল্যবান! তো, বেশ কিছু ঘটনার পরে সলোমনের সাথে দেখা হয় ড্যানি আর্চার নামক এক হীরা পাচারকারীর। মূলত এখান থেকেই শুরু হয় আসল কাহিনী!
সর্বেশেষঃ আফ্রিকা’কে কেন অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশে বলা! হয় ব্লাড ডায়মন্ড সিনেমাটি দেখলে আপনি অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন। নিজেদের মাটিতে এত সম্পদ থাকার পরও কেন আফ্রিকানদের এই দূর্গতি সেটির স্পষ্টছাপ ফুঠে ওঠেছে সিনেমাটিতে.
Happy Watching